বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যে কোনো মূল্যে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আমরা শান্তি চাই এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারও উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের সামনে স্পষ্টভাবে বলতে চাই— I have a plan। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই।”
তারেক রহমান বলেন, ৭১’এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
তিনি বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই আই হ্যাভ এ প্ল্যান। আমি এই প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাই।
এর আগে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দেওয়া সংবর্ধনা গ্রহণ শেষে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
এরআগে তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে বিমানবন্দরে বরণ করে নেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিমানবন্দর ত্যাগের পর লাল ও সবুজ রঙের বিশেষ বাসে করে তারেক রহমান পূর্বাচলের উদ্দেশে রওনা হন।












